আগামী তিন দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।
এ সময়ে দেশের প্রতিটি বিভাগের প্রায় সব জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
যেহেতু অতিবৃষ্টি এবং অনাবৃষ্টি কোনোটাই কল্যাণময় নয়। তাই বৃষ্টির অকল্যাণ থেকে যেমন দোয়া করতে হবে, তেমনি অনাবৃষ্টির বিপদ থেকে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে।
নবী কারিম (সা.) অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করেছেন। সেই সঙ্গে বৃষ্টির সশয় কল্যাণ প্রার্থনার পাশাপাশি আজাব থেকে মুক্তির দোয়াও করেছেন। নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়।
বৃষ্টির আগ মুহূর্তে মেঘের গর্জন শুনলে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চেহারায় কিছু দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা যেত। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমি কখনো নবী কারিম (সা.)-কে এমনভাবে হাসতে দেখিনি যে তার আলা জিহ্বা দেখা যায়। তিনি সব সময় মুচকি হাসতেন। তিনি মেঘ বা বাতাস দেখলে তার চেহারায় শঙ্কা দেখা যেত। আমি বলতাম, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), মানুষ মেঘ দেখে খুশি হয়। কারণ তাদের আশা একটু পরই বৃষ্টি হবে। আর আপনি মেঘ দেখলে আপনার চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ লক্ষ্য করা যায়? তখন তিনি বলেন, ‘হে আয়েশা, আমি কিভাবে নিশ্চিত হব যে তাতে আজাব নেই? কারণ অনেক সম্প্রদায় প্রবল বাতাসে নিশ্চিহ্ন হয়েছে। অনেক সম্প্রদায় মেঘ দেখে বলেছে, এই মেঘ আমাদের বৃষ্টি দেবে।’ -সহিহ বোখারি : ৪৮২৮
মেঘের শব্দ শুনলে দোয়া পড়া সুন্নত। হজরত আবদুল্লাহ বিন উমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) মেঘ ও বজ্রের আওয়াজ শুনলে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বিগাজাবিকা, ওয়া লা তুহলিকনা ওয়ালা তুহলিকনা বি আজাবিকা ওয়া আফিনা কাবলা জালিকা। অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের আপনার ক্রোধ দিয়ে হত্যা করবেন না। আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করবেন না এবং এর আগেই আমাদের নিরাপদে রাখুন।’ -জামে তিরমিজি : ৩৪০৫