ফিলিস্তিন ও লেবাননে ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের বিষয়ে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলন আহবান করেছে সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকট নিরসন এবং আঞ্চলিক সংকট দূর করার লক্ষ্যে এই সম্মেলন আহবান করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রিয়াদে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। সম্মেলনের অংশ নিতে জর্ডান, মিশর, কাতার, তুর্কিয়ে, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিরা সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উদদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন রিয়াদ পৌঁছেছেন।
শীর্ষ এই সম্মেলন উপলক্ষে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য হারুন নাসের আল দিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েলি দখলদার সরকারের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ আর হত্যাকাণ্ড বন্ধে মুসলিম দেশগুলোর দায়িত্ব পালনের সময় এসেছে।’
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু করার পর ১১ নভেম্বর ২০২৩ অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনেরই একটি ফলোআপ অনুষ্ঠান এটি।
সৌদি আরবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ধারাবাহিক ‘অপরাধ ও সহিংসতার’ নিন্দা করেন। একইভাবে লেবাননে হামলা করারও নিন্দা করে বলা হয় এতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এর ফলে আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
যাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে দুই হাজার সাত শর বেশি মানুষ নিহত এবং সাড়ে ১২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের অবিরাম হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে একটি আঞ্চলিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে- এমন আশঙ্কা তৈরি হওয়ার পর ইসরায়েল যুদ্ধ ক্রমেই প্রসারিত করে চলেছে।