গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের আম বয়ান চলছে। সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজের ইমান, আমল ও আখলাককে পরিপূর্ণ শুদ্ধরূপে গড়ে তুলতে বয়ান শুনছেন তাবলিগের সাথীরা। জোড়ে উপস্থিত সবাই তাবলিগের তিন চিল্লার সাথি ও সময় লাগানো উলামা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, বৃহস্পতিবার জোড় ইজতেমায় প্রায় ২ লাখ মুসুল্লি উপস্থিত হয়েছেন। তার দাবি, গতকাল শুক্রবার প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মুসল্লি এক সঙ্গে জুমার নামাজে আদায় করেছেন।
শনিবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের ছয় সিফাতের বয়ানের মধ্য দিয়ে জোড় ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শুরু হয়। সকাল ১০টা থেকে কারগুজারীর আমল শুরু হয়েছে। বাদ আছর বয়ান করবেন মাওলানা ফারুক ও ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেউলা বাদ মাগরিব বয়ান করবেন।
৩ ডিসেম্বর মোনাজাতের মাধ্যমে জোড়ের সমাপ্তি ঘটবে।
জোড়ে এ পর্যন্ত এক জন মুসল্লি ইন্তেকাল করেছেন। তার নাম আব্দুল হাকিম আকন্দ (৭২)। তিনি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার দুলালী গ্রামের বাসিন্দা।
জোড় হলো, তাবলিগ জামাতের একটি বিশেষ পরিভাষা। বিশ্ব ইজতেমার আগে এই জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তাবলিগ জামাতের সব সাথী জোড়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন না।
শুধুমাত্র তিন চিল্লার সাথীদের নিয়ে এই জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। জোড়ের পর শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি, এখান থেকে কিছু জামাত দেশের নানা প্রান্তে চলে যান দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে, আর পর্যায়ক্রমে কিছু জামাত ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতির কাজ করতে থাকেন।