বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি উপলক্ষে আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। জোড় শেষে দোয়া পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা। মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সফল হওয়ার জন্য দোয়া করা হয়।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টা ২০ মিনিটে শেষ হয় মোনাজাত।
এর আগে ফজরের নামাজের পর থেকে হেদায়তি বয়ান হয়েছে। বয়ান করেন ভারতের (বোম্বে) মাওলানা আবদুর রহমান। তরজমা করেছেন মাওলানা আবদুল মতিন সাহেব। হেদায়েতি বয়ানে ইজতেমার আগে যারা তাবলিগে বের হবেন তাদের জন্য দিকনির্দেশনা মূলক কথা বলা হয়।
এরপর নসীহতমূলক বয়ান করেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি মাওলানা ইবরাহিম দেওলা। তার তরজমা করেছেন মাওলানা জুবায়ের (বাংলাদেশ)।
এদিকে দোয়ায় শরিক হওয়ার জন্য ঢাকা, গাজীপুর এবং আশপাশের এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ মুসল্লি মঙ্গলবার সকাল থেকে ইজতেমার ময়দানে এসে মোনাজাতে শরীক হন। গত ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জোড় ইজতেমা এই দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম)-এর ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতাও শেষ হলো।
জোড় ইজতেমায় ৪ মুসল্লির মৃত্যু : জোড় ইজতেমা চলাকালে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ৪ জন মুসল্লি ইন্তেকাল করেছেন। তারা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর থানার মো. শহিদুল ইসলাম (৬৫), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার দুলালী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাকিম আকন্দ (৭২), রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার বৌরাগীপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে হায়দার আলী (৩৫) ও দিনাজপুর সদর থানা শহরের মস্তপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে কাউসার আলী (২৮)।
ইজতেমার ময়দানে জানাজা শেষে প্রত্যেকের লাশ নিজ নিজ বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।