ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি সম্মেলন থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর ইসলামভীতি ছড়ানোর বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামভীতি ছড়ানোর জন্য সম্মেলন থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর নিন্দা জানানো হয়েছে।
সম্মেলনে বলা হয়, পশ্চিমা কয়েকটি দেশকে নিউজিল্যান্ড হত্যাকাণ্ডের জন্য অবশ্যই দায় নিতে হবে। নিউজিল্যান্ডের এ হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে পরষ্কার হয়েছে যে, পশ্চিমা বিশ্বে বিপজ্জনক একটি জোয়ার চলছে আর তা হচ্ছে ইসলামিভীতি ছড়ানো। পশ্চিমা কোনো কোনো কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান নিরবতা পালন করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধমূলক তৎপরতা চালাতে সহায়তা দিচ্ছেন।
নিউজিল্যান্ডের দু’টি মসজিদে মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেন। এরপর শুক্রবার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।
সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানও বক্তব্য রাখেন। তিনি ইসলামভীতি ছড়ানোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মুসলমানেরা এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড বরদাশত করতে পারে না।
এরদোগান বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা ইসলামভীতি ও মুসলিম-বিদ্বেষের মুখে রয়েছি। ক্রাইস্টচার্চ হত্যাকাণ্ডের পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং মুসলমানদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন তা উদাহরণ হতে পারে।’
ওআইসি সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি হিসেবে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিন উপস্থিত ছিলেন।
এরদোগানের আমন্ত্রণে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইন্সটন পিটারস।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।