মেহেরপুরের ঐতিহ্য আনন্দবাস ১০ গম্বুজ মসজিদ

রামাদ্বান কারীম, ইসলাম

মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর | 2023-09-01 10:42:58

মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার ও সামাজিক সম্প্রতি সৃষ্টিতে মসজিদের ভূমিকা অপরিসীম। এটা মসজিদের একটি আবেদনও বটে।

আনন্দবাস গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ১০ গম্বুজ মসজিদটি এমনই একটি মসজিদ। যা এলাকার প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। এই মসজিদে জুমার নামাজে অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা আসেন।

ভারতীয় সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলায় ইসলাম প্রচারক হিসেবে অনেক দরবেশ ও আওলিয়ার নাম শোনা যায়। তাদের একজন শেখ ফরিদ। মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামে রয়েছে তার কর্মকাণ্ডের অনেক নিদর্শন। তার অনুপ্রেরণায় আনন্দবাস গ্রামে প্রায় দেড়শ বছর আগে নির্মাণ করা হয় একটি মসজিদ। যার বর্তমান নাম আনন্দবাস ১০ গম্বুজ মসজিদ।

এ প্রসঙ্গে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন বলেন, ‘এ মসজিদকে ঘিরে আমাদের এলাকায় ইসলাম প্রচার হয়েছে। অন্য এলাকা থেকে বহু মানুষ জুমার নামাজ পড়তে আসেন। পরবর্তীতে এ মসজিদকে ঘিরে এলাকায় আরও বহু মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে মসজিদের গম্বুজগুলো সংরক্ষণের চেষ্টা করছি।’

মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইবনে সুয়ায়েজ মামুন বলেন, আবুল মাস্টার, মফেম উদ্দীন মণ্ডল ও আমার দাদা জিন্দার আলীসহ অনেক মুরুব্বি দেখাশোনা করতেন মসজিদটি। তাদের পরবর্তী প্রজন্মরাই এখন দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে তাদের পূর্বপুরুষরা মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন বলে আমরা শুনেছি।

বয়োবৃদ্ধ সুলতান বিশ্বাস ও মসজিদের মোয়াজ্জিন ময়েন উদ্দীন বলেন, মসজিদটি আমাদের গর্ব। এখানে নামাজ পড়ে যেন আলাদা শান্তি উপলদ্ধি করি।

শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে আসা আনন্দবাস গ্রামের যুবক জাহিদ হাসান। জাহিদ মেহেরপুর সরকারি কলেজে মাস্টার্সে লেখাপড়া করেন।

তিনি বলেন, ঐতিহবাহী এই মসজিদ আমাদের গ্রামের হওয়ায়- নিজেকে গর্বিত মনে করি।

১০ গম্বুজ মসজিদকে ঘিরে এলাকায় ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটেছে। এ মসজিদের আদলে এলাকায় আরও অনেক মসজিদ নির্মিত হয়েছে- কথাগুলো বলছিলেন মসজিদের ইমাম মাওলানা সালাহ উদ্দীন।

তিনি বলেন, বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের গম্বুজের চেয়ে এই মসজিদের একটি গম্বুজ অনেক বড়। এটাই এই মসজিদের বৈশিষ্ট্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর