রমজানে পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় সৃষ্টি হয় মহামিলনের অপূর্ব সমারোহ। আসরের নামাজের পর পরই শুরু হয় ইফতার আয়োজন। নানা দিক থেকে স্রোতের মতো মানুষ এসে বসতে থাকেন ইফতারের দস্তরখানে। বিশ্বভ্রাতৃত্বের ঐশী আওয়াজে মানুষের হৃদয় ও চেতনা পরিশুদ্ধ হয় রমজানের রোজা বা সিয়াম শেষে ইফতারের অনাবিল তৃপ্তিতে।
লাখো মানুষের ইফতারের কোনো কমতি হয় না। সবাই পরিতৃপ্তির সাথে খেতে পারেন। প্যাকেটে আসা ইফতারে থাকে অনেক কিছু। তবে খেজুর, রুটি, লাবান কমন। বিচিত্র খেজুরের স্বাদে মানুষের সারাদিনের ক্লান্তি ও খিদে মিটে যায়।
আর আছে জমজম। স্বর্গীয় এই পানিতে রয়েছে অলৌকিক গুণাবলি। বিজ্ঞান ও গবেষণায় জমজমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত। এ পানি পানে নিমেষেই রোজাদার চাঙ্গা হয়ে ওঠেন এবং মশগুল হন ইবাদত ও বন্দেগিতে।
আরবের রমজান এক সাংস্কৃতিক জাগরণের মতো। রোজার মাস পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় যেন রূহাবিয়াত বা আধ্যাত্মিকতার ফল্গুধারা নিয়ে আসে। এভাবে বিশ্ব জাহানকে রমজান আবৃত করে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের স্বর্ণালি চাদরে।
রোজার মাসের পূর্ণতায় ও পরিতৃপ্তিতে বিশ্বমানবতার জীবন ও কর্ম সফলতার আলেকদীপ্ত হোক।
এমপি/