রোজা মানুষকে গোনাহ থেকে দূরে থাকতে অভ্যস্ত করে

, ইসলাম

ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 22:54:04

অভিজ্ঞতা ও পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান মাসে অন্যায়-অবিচার অনেক কমে যায় এবং সমাজের মানুষ নিরাপদ ও শান্তিতে থাকে। রমজান মাসের ফজিলত ও আধ্যাত্মিকতা এতই বেশি যে, মানুষ এ মাসে ভালো কাজে অভ্যস্ত হয় এবং অন্যায় পরিত্যাগ করে চলে।

কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা মুত্তাকি তথা পরহেজগার হতে পারো।’

বর্ণিত আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, রোজা হচ্ছে একটি ফরজ ইবাদত। যার মূল উদ্দেশ্য মানুষের আধ্যাত্মিক বিকাশ ও উন্নতি সাধন।

সুতরাং রোজাদারকে রোজা অবস্তায় নিজের সকল অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গকে হেফাজত করতে হবে। অর্থাৎ হাত-পা, নাক-কান ও চোখ থেকে শুরু করে সব কিছুকে গোনাহ থেকে বিরত রাখতে হবে।

কোরআনে কারিমে আরও বলা হয়েছে, ‘নামাজ এবং সবরের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও।’

এখন চলছে তীব্র গরম। এই গরমে রোজা রাখা খুবই কঠিন, তার পরও যদি শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কষ্ট সহ্য করা হয় এবং সব কাজ করা যায়- তাহলে তার সওয়াবও অনেক বেশি হবে।

বস্তুত আল্লাহতায়ালা ধনি ও গরিবকে একই অবস্থানে আনার জন্য রোজার বিধান দিয়েছেন। উদ্দেশ্য, আল্লাহর আনুগত্য। যার ভেতরে আনুগত্য যতো বেশি তৈরি হবে, সে ইবাদতে ততো বেশি স্বাদ পাবে। আর একজন মুমিন-মুসলিমের কাছে শরিয়ত এমনটিই চায়।

ইবাদত ও আনুগত্যতার মাস রমজান। তাইতো অনেক সময় দেখা যায়, যে মানুষটি অন্য মাসে ঠিকমতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো না; সে রমজানে রোজা রাখে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাসময়ে আদায় করে, সময়মতো ইফতার ও সাহরিতে অংশগ্রহণ করে। একটু সময় পেলেই কোরআন তেলাওয়াত করে, নফল নামাজ আদায় করে, সুযোগ পেলে শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে। এসবই হলো রমজানের বরকত।

রোজাদারের জন্য অবশ্য লক্ষণীয় ও করণীয় বিষয় হলো- সে পাপমুক্ত জীবন গঠন করবে। তাই যেসব কারণে পাপ হয়, তা জেনে ওই সব কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে। তাহলেই রমজানে ঘোষিত রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত পাওয়া যাবে- ইনশাআল্লাহ।

আমরা যদি রমজান মাস এভাবে চলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি, কবে অন্য মাস এগারো মাসও রমজানের মতো সব পাপমুক্ত থাকা যাবে। এভাবে পাপমুক্ত হয়ে কবরে যেতে পারলে- তখন আশা করা যায়, আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে জান্নাতের সুশীতল ছায়াতলে স্থান করে দেবেন।

আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক মুসলমানকে রমজান মাসের মতো পাপমুক্ত জীবন গঠন করার তওফিক দান করুন। আমিন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর