বিনামূল্যে কোরআন বাঁধাই করেন হাজি ওমর

, ইসলাম

ইসলাম ডেস্ক | 2023-08-31 14:03:39

মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থের নাম- কোরআনে কারিম। বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে কোরআনের কপি সংরক্ষণ করে থাকেন। কোরআন তেলাওয়াত একটি বিশেষ ইবাদতও বটে। তেলাওয়াত করতে করতে যখন এ ধর্মগ্রন্থ পুরনো কিংবা জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে যায়- তখনও এটিকে যথাযথ সম্মান ও সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়।

এভাবে কোরআন সংরক্ষণের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন- আলজেরিয়ার নাগরিক হাজি ওমর বুলকাফু। তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত বিনামূল্যে পবিত্র কোরআনের পুরনো পাণ্ডুলিপি সংস্কার এবং বাইন্ডিং করে দেন।

৮৬ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ বসবাস করেন আলজেরিয়ায় ব্যাটেনা শহরে। কর্মজীবনে তিনি চাকরি করতেন দেশটির বিখ্যাত ছাপাখানা ‘আল বেলায়া’ প্রেসে। ১৯৯৫ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। এর পর থেকে অবসর জীবনে নিজ বাড়িতে বিনামূল্যে পবিত্র কোরআনের পুরনো পাণ্ডুলিপি সংস্কার এবং বাইন্ডিং করে আসছেন।

কোন জিনিস আপনাকে এই কাজ করতে উদ্ধুদ্ধ করেছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনেকের বাসায় পুরনো কোরআন রয়েছে। বেশি পুরনো কিংবা বাঁধাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে তা আর পাঠ করা যায় না। অথচ একটু সংস্কার করলেই সেটা তেলাওয়াত উপযোগী হয়, কিন্তু কাজটা অনেকেই জানেন না, আবার জানলেও করা হয়ে উঠে না। আমি ভাবলাম, হাতে যেহেতু প্রচুর সময় আছে, আমিই এ কাজটা করে দেই। তাতে মানুষের উপকারের পাশাপাশি আমার সময় কাটবে, পরকালেরও কিছু পাথেয় সংগ্রহ হবে। এই ভাবনা থেকেই আমি পুরনো কোরআন বাঁধাই শুরু করি। কাজটি আমি আমৃত্যু করতে চাই।

ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- যে সব কোরআনের কপি অত্যধিক পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণে লেখা মুছে গেছে বা ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে পড়ার অনুপযোগী হয়ে গেছে- সেগুলোকে পবিত্র কাপড়ে পেঁচিয়ে সুরক্ষিত ও পবিত্র স্থানে দাফন করে দেবে।

এটাই সর্বোত্তম পদ্ধতি। এছাড়া নদী বা বড় জলাশয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কেউ কেউ জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন, তবে জ্বালিয়ে দেওয়া ঠিক না। কারন, জ্বালিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কোরআনের যথায়থ হক আদায় হয় না। এরপরও যদি কেউ জ্বালিয়ে দেয়, তাহলে ছাইগুলোকে দাফন করে দিতে হবে বা নদীতে ভাসিয়ে দিতে হবে। তাই সর্বোত্তম পন্থা হলো- কাপড় পেঁচিয়ে দাফন করে দেওয়া।

এ সম্পর্কিত আরও খবর