ইজতেমা ময়দান থেকে: বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের মাঝে বিনামূল্য চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে ৪০টি মেডিকেল ক্যাম্প। এসব ক্যাম্প থেকে বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, দাতব্য প্রতিষ্ঠান এসব মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবা দিতে মন্নু গেট, এটলাস গেট, বাটা কারাখানার গেট ও টঙ্গী হাসপাতাল মাঠসহ ইজতেমা মাঠের আশপাশের বিভিন্ন স্থানে এসব অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে দেখা গেছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে এসব ক্যাম্পে চিকিংসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ক্যাম্পে রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- হামদর্দ ওয়াকফ ল্যাবরেটরিজ, আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল, ইসলামী মিশন, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি, গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিস, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও টঙ্গী ওষুধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন সংস্থা।
হামদর্দের এক চিকিৎসক বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগত মুসল্লিদের অনেকেই গ্যাস্ট্রিক, আলসার, পেটের পীড়া, ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট ও জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এসব রোগীদের আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ দিচ্ছি।
অনেক ক্যাম্পে হৃদরোগ, অ্যাজমা, ট্রমা, চোখ এবং ওআরটি কর্নারসহ বিভিন্ন ইউনিটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। সংকটাপন্ন রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে ইজতেমায় যোগ দিতে আসা ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন- গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া এলাকার মো. ইয়াকুব আলী (৭৫), চট্টগ্রামের মোহাম্মদ আলী (৭০), সিরাজগঞ্জের খোকা মিয়া (৬০), নওগাঁর শহিদুল ইসলাম (৫৫), কুমিল্লার তমিজ উদ্দিন এবং রাজশাহীর আব্দুর রাজ্জাক (৬৭)। তাদের লাশ ইজতেমা মাঠে জানাজা শেষে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।