বিশ্ব ইজতেমার ময়দান থেকে: ইজতেমা চলাকালীন সময়ে সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী ফজরের নামাজের পর আম বয়ান হয় মাঠে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে। কিন্তু রোববার (১২ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হবে হেদায়েতি বয়ান। এরপরেই অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত।
সকাল সাড়ে সাতটা থেকে হেদায়েতি বয়ান শুরু করেছেন মাওলানা জিয়াউল হক। হেদায়েতি বয়ানের পর সংক্ষিপ্ত বয়ান করবেন আলমি শুরার অন্যতম সদস্য মাওলানা ইবরাহীম দেওলা। আর মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা মো. জোবায়ের।
ইজতেমার মাঠের জিম্মাদার ও তাবলিগের একাধিক মুরব্বি সূত্রে জানা গেছে, সকাল দশটার মধ্যে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। লোক সমাগম বেশি হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইজতেমা কর্তৃপক্ষ।
মোনাজাত উপলক্ষে রোববার ভোর ৫টা থেকে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর, চৌরাস্তা, মিরেরবাজার-টঙ্গী, আবদুল্লাপুর থেকে আশুলিয়া বাইপাস সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় অংশ নেওয়া বিপুল সংখ্যক মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি।
এছাড়া মোনাজাত উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সব আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রাবিরতি করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
লাখো মুসল্লির পদচারণায় ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। মূল প্যান্ডেলে ঠাঁই না পেয়ে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় আশপাশের এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। আর আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ইজতেমা অভিমুখী মানুষের ভিড় অব্যাহত রয়েছে।
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আলমি শুরাপন্থিদের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মাওলানা সাদপন্থিদের ইজতেমা।