বিশ্ব ইজতেমার ময়দান থেকে: বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের পূর্বে মাঠে হেদায়াতি বয়ান চলছে। হেদায়েতি বয়ানে ইবাদতের একনিষ্ঠতা, একাগ্রতা নিয়ে বয়ান করছেন মাওলানা জিয়াউল হক। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করছেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা উমর ফারুক।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল দশটায় ৫৫তম ইজতেমার আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মোনাজাতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগ তীর। ইজতেমার তিন দিনের জামাতের বাইরে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ এখনও স্রোতের মতো ছুটে আসছেন ইজতেমা ময়দানের দিকে।
মুসল্লিদের ভিড়ের কারণে উত্তরে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা দক্ষিণে বিমানবন্দর থেকে টঙ্গীমুখী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাস্তায় অতিরিক্ত মাইক সংযোগ দেওয়া হয়েছে। মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা রাস্তায় পত্রিকা-পলিথিন বিছিয়ে বসে হেদায়েতি বয়ান শুনছেন।
হেদায়েতি বয়ানে মাওলানা জিয়াউল হক, ফরজ ইবাদতগুলো গুরুত্বসহকারে আদায়ের তাগিদ দিয়ে বলেন, দুনিয়ায় আমাদের ইজ্জত ও পরকালে সফলতার জন্য ইবাদতের কোনো বিকল্প নেই। শুধু নামে মুসলমান হলে রোজ কিয়ামতে কোন মুখে আমরা আল্লাহর সামনে দাঁড়াবো? এ চিন্তা করতে হবে। নবীর সুন্নতের অনুসরণ করতে হবে। আর দ্বীন শিখার জন্য আলেমদের কাছে যেতে হবে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, শেখার কোনো বয়স নেই। সুতরাং লজ্জা নয়, পরকালের অনন্ত জীবনে সুখের জন্য দ্বীন শিখতে হবে। নিজের ভেতরে কোনো অবস্থাতেই অহংকারকে স্থান দেবেন না। মানুষের সঙ্গে সর্বদা ভালো ব্যবহার করবেন। হাসিমুখে কথাও তো সওয়াবের কাজ।
এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা রাস্তায়, ফুটপাতে ইজতেমা প্রাঙ্গণের আশপাশের বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়েছেন। কিছু নারীদেরও মোনাজাতে আসতে দেখা গেছে। সবারই উদ্দেশ্য আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া।