টঙ্গী (গাজীপুর) থেকে: বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। বেলা পৌনে বারোটায় মোনাজাত শুরু করেন ভারতের মুরব্বি মাওলানা জামশেদ।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ইজতেমার ময়দানে মোনাজাত শুরু হতেই নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। আরবি ও উর্দুতে করা মোনাজাতে মাওলানা জামশেদ প্রথমে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার প্রশংসা, রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পাঠ করেন।
এর পর মোনাজাতে তিনি ইজতেমার কামিয়াবি, অংশগ্রহণকারীসহ সব মুসলমানদের গোনাহ মাফ, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ, বিশ্ব শান্তি, বিশ্ববাসীর সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেন।
রোববারের আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় এবারের ইজতেমা। মোনাজাতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ টঙ্গীর স্থানীয় ও আশপাশের মুসল্লিরা অংশ নেন।
মোনাজাতে বিপুল পরিমাণ নারীরা অংশ নেন। নারীদের বেশিরভাগ বিভিন্ন ভবনের ছাদে বসে মোনাজাতে অংশ নেন।
আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে ইজতেমার ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আব্দুল্লাহপুর আশুলিয়া বাইপাস সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে লোক সমাগম কম থাকায় এসব রাস্তায় হোন্ডা, রিক্সা, ইজিবাইক ও সিএনজি চলাচল করায় মুসল্লিদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আখেরি মোনাজাতের জন্য টঙ্গীতে অবস্থিত সকল সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত ও কলকারখানা আধাবেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
রোববার বাদ ফজর ভারতের মৌলভি ইকবাল হাফিজ ময়দানে আমা বয়ান করেন। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফুল ইসলাম।