রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মসজিদগুলোতে শুক্রবার (২৭ মার্চ) জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ প্রায় সব মসজিদ ও মসজিদের সামনের সড়কে মুসল্লিদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জনসমাগম বা জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা হলেও মুসল্লিদের নামাজ পড়তে মসজিদে মসজিদে দেখা গেছে। যদিও তুলনামূলক স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম উপস্থিতি ছিল। বিশেষ করে বায়তুল মোকাররম মসজিদে তুলনামূলক কম মুসল্লির উপস্থিত ছিলো।
মসজিদ কর্তৃপক্ষ নামাজে প্রবেশের পূর্বে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পানি দিয়ে সবার হাত পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছিল। করোনাভাইরাস আতঙ্কে অনেককেই মাস্ক পরে মসজিদে যেতে দেখা যায়।
এর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা ছিল বাসায় সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করে মসজিদে যাওয়ার এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে নামাজ শেষ করার। নির্দেশনা মেনে অধিকাংশ মসজিদেই দ্রুত সময়ে নামাজ শেষ করা হয়।
বায়তুল মোকাররম মসজিদে শুক্রবার ছোট সুরা পড়ে দ্রুত সময়ে জুমার নামাজ আদায় করা হয়। এছাড়া দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। করোনা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনার পাশাপাশি আক্রান্তরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই দোয়া করা হয়।মোনাজাতে অনেক মুসল্লি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মসজিদে দেখা যায়, প্রায় সব মসজিদেই জুমার নামাজে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল। আজানের সঙ্গে সঙ্গে অনেক মুসল্লি মসজিদে উপস্থিত হয়েছেন। মসজিদ ছেড়ে রাস্তায় এসেছে জামাত। সেখানেও সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষিত বিভিন্ন নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়। নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কয়েকজন মুসল্লি জানান, সরকারি ছুটি ও স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় নামাজে মানুষের উপস্থিতি কম। এছাড়া স্বাভাবিক উপস্থিতি ছিলো।