ঢাকা: ইসলাম ও দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় কওমি মাদ্রাসা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করেন কওমি ফোরাম।
ফোরামের নেতারা বলেন, নৈতিক অবক্ষয়ের এই যুগে দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কওমি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
সোমবার (১৩ আগস্ট) সন্ধায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কওমি মাদ্রাসার ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে কওমি ফোরামের নেতারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বার্তা২৪.কমের ইসলামিক সেকশনের এডিটর মুফতি এনায়েতুল্লাহ বলেন, কওমি মাদ্রাসার মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে কুরআন হাদিসের প্রচার ও প্রসার এবং দ্বীন ইসলামকে বিশুদ্ধরুপে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখা। দ্বীনের শাশ্বত শিক্ষাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া। ইসলামী শিক্ষা সুরক্ষার সঙ্গে সঙ্গে নিত্যনতুন সৃষ্ট ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, ফেতনা ইত্যাদি সম্পর্কে জাতিকে সতর্ক করা।
তিনি বলেন, নৈতিক মূল্যবোধের অভাবে সমাজের সর্বত্র অবাধে ঘুষের সয়লাব। দুর্নীতি ধারণ করেছে মহামারিতে। এসব নির্মূলে সরকার ও প্রশাসন কাজ করলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। নারী নির্যাতন, সন্ত্রাস দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব থেকে উত্তরণে ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
কওমি মাদ্রাসাকে দেশপ্রেমিক, ইমানদার ও খাঁটি মানুষ তৈরির কারখানা মন্তব্য করে মুফতি এনায়েতুল্লাহ বলেন, আদর্শ রাষ্ট্র নির্মাণ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, নারীর সন্মান, জীবনের নিশ্চয়তা, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য রক্ষার চ্যালেঞ্জ উত্তরণে কওমি ধারার শিক্ষা বিশাল ভূমিকা রাখছে। এ শিক্ষার সুফলকে সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে রাষ্ট্র ও সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
মাওলানা মামুনুল হকের সভাপতিত্বে ও মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিল প্রমুখ।