আজ ৭০তম প্রজাতন্ত্র দিবস

, কলকাতা

কলকাতা ডেস্ক | 2023-08-19 19:47:06

আজকের দিনে অশোক স্তম্ভকে স্বাধীন ভারতের জাতীয় প্রতীক ধরা হয়।

৭০তম এই প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, যাঁরা সব ত্যাগ করে দেশকে বাঁচিয়েছেন তাঁদের স্বপ্ন সফল করার দায় আমাদের।

আজ পূর্ণ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাজধানী দিল্লী। ২৫ হাজারে বেশি পুলিশকর্মী থাকবে কুচকাওয়াজের পথে। রাজপথ থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত পুলিশের পাশাপাশি স্নাইপাররাও থাকবে।

সংবিধান প্রবর্তনের স্মৃতিতে প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ভারত শাসনের জন্য ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করে। এটি ভারতের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় গণপরিষদ সংবিধান কার্যকরী হলে দেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের ফলে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায়। এ স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত, শান্তিপূর্ণ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ও আইন অমান্য আন্দোলন।

স্বাধীনতা লাভের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয় যুক্তরাজ্যের সংসদে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাশ হওয়ার মাধ্যমে। এর ফলে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে গিয়ে কমনওয়েলথ অফ নেশনসের অন্তর্গত অধিরাজ্য হিসেবে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয়। ওই সময় দেশ স্বাধীন হলেও দেশের প্রধান হিসেবে তখনও বহাল ছিলেন ষষ্ঠ জর্জ এবং লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন ছিলেন এর গভর্নর জেনারেল। তখনও দেশে কোনো স্থায়ী সংবিধান ছিল না। ঔপনিবেশিক ভারত শাসন আইনে কিছু রদবদল ঘটিয়েই দেশ শাসনের কাজ চলছিল।

১৯৪৭ সালের ২৮ আগস্ট একটি স্থায়ী সংবিধান রচনার জন্য ড্রাফটিং কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ভীমরাও রামজি আম্বেডকর। ওই বছরের ৪ নভেম্বর কমিটি একটি খসড়া সংবিধান প্রস্তুত করে গণপরিষদে জমা দেয়। চূড়ান্তভাবে সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে ২ বছর, ১১ মাস, ১৮ দিনব্যাপী গণপরিষদ এই খসড়া সংবিধান আলোচনার জন্য ১৬৬ বার অধিবেশন ডাকে। এই সমস্ত অধিবেশনে জনসাধারণের প্রবেশের অধিকার ছিল।

বহু বিতর্ক ও কিছু সংশোধনের পর ১৯৫০ সালের ২৫ জানুয়ারি এ গণপরিষদের ৩০৮ জন সদস্য চূড়ান্ত সংবিধানের হাতে লেখা দুটি নথিতে (একটি ইংরেজি ও অপরটি হিন্দি) স্বাক্ষর করেন। এর দুদিন পর সারা দেশব্যাপী এই সংবিধান কার্যকর হয়। সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের প্রধান কর্মসূচি পালিত হয় রাষ্ট্রপতির সামনে, জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লীতে। এ দিন রাজপথে আড়ম্বরপূর্ণ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয় যা রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর