বন্ধ হলো জেটের বাংলাদেশ পরিষেবা

, কলকাতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 04:40:55

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে জেট এয়ারওয়েজের বহু প্লেন বসে গিয়েছে। অবশেষে যেকটি চলছিল এই মুহূর্তে তা চালানোর মতো যথেষ্ট পাইলট নেই সংস্থাটির হাতে। এই অবস্থায় জেট এয়ারওয়েজকে উঠে দাঁড়াতে হলে পাইলটসহ বিমান ভাড়া নিতে হবে অন্য সংস্থা থেকে। তাই আন্তর্জাতিকভাবে ঢাকা-কলকাতা এবং ঢাকা-দিল্লি রুটে বন্ধ হয়ে গেল জেট এয়ারওয়েজের পরিষেবা।

জেট এয়ারওয়েজ সংস্থার কর্মকর্তাদের মতে, নতুন লগ্নি না আসলে প্লেন ওড়ানো একেবারে অসম্ভব। সংস্থার এই কথায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বুঝতে পারছে নির্বাচনের আগে জেট কার্যত শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের সামনে।

সূত্র মতে, সংস্থাটি পুরোপুরি বসে গেলে তা নির্বাচনের মুখে কেন্দ্রের পক্ষে ভাল বিজ্ঞাপন হবে না। কারণ, কর্মসংস্থানের প্রশ্নে এমনিতেই বিরোধীদের তোপের মুখে মোদি সরকার। এছাড়া আচমকা এতজন কাজ হারালে তারও দায় চাপবে মোদি সরকারের ঘাড়ে। বিশেষত পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন যেখানে ইতোমধ্যেই বকেয়া বেতন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

অন্যদিকে এই অবস্থায় স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) জেটের দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে সরকার। প্রশ্ন উঠছে, ভোটে জেতার তাগিদে ব্যাংকে জমানো সাধারণ মানুষের টাকা দিয়ে কেন বেসরকারি বিমান সংস্থাকে বাঁচানোর চেষ্টা হবে?

ইতোমধ্যে জেটের পরিষেবা বন্ধ হয়েছে বহু রুটে। তার সাথে যুক্ত হলো বাংলাদেশের পরিষেবা। সবমিলিয়ে ৬০টির বেশি প্লেন বসে গিয়েছে। জেটের অন্যতম অংশীদার এতিহাদ আগেই জানিয়েছে, যতদিন সংস্থার পরিচালনা চেয়ারম্যান নরেশ গোয়েলের হাতে থাকবে, ততদিন কোনো আর্থিক সহযোগিতা করবে না এতিহাদ।

জেট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ হাজার ৬০০ জন পাইলট গত তিন মাসের বেতন পায়নি।

আর এই অবস্থায় নতুন করে পাইলট নিয়োগ করে বিমান চালানো সময়সাপেক্ষ তো বটেই। তবে নির্বাচনের আগে বিমান বসে যাওয়া এতগুলো মানুষের আচমকা কাজ হারানো এবং পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে ঢাকা থেকে দিল্লিসহ কলকাতা বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট চাপে মোদি সরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর