সাহেদ চতুর ও ভদ্রবেশী অপরাধী- ট্রাইব্যুনাল

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 11:41:17

অস্ত্র মামলার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে সাহেদ করিম সম্পর্কে রায় পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘তিনি খুবই চতুর ও ভদ্রবেশী অপরাধী’। 

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ অস্ত্র আইনের ১৯-এ ধারায় যাবজ্জীবন ও ১৯এফ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। দুটি সাজা একই সাথে চলবে।

এ সময় সাহেদ করিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণা উপলক্ষে তাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, চার্জশিটের ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আসামি সাহেদের গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে মর্মে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিয়েছেন।

অস্ত্র মামলায় সাজা দিতে হলে অস্ত্র সম্বন্ধে আসামির নলেজ, কন্ট্রোল ও পজেশন নিরঙ্কুশ হতে হয়। যে গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ওই গাড়িটি সাহেদের হওয়া স্বত্বেও আসামি আদালতে তা অস্বীকার করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয় যে, গাড়িটি সাহেদের। ৬০ কিস্তিতে ২০ লাখ টাকায় গাড়িটি কেনেন তিনি।

আদালত আরো বলেন, আসামি খুবই চতুর ও ভদ্রবেশী অপরাধী। এ ধরনের আসামিরা আদালত থেকে কোনো অনুকম্পা পেতে পারেন না। তাই অস্ত্র আইনের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

যুক্তিতর্ক গ্রহণের আগে চার্জশিটের ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। পরে ২৭ আগস্ট সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় চার্জ গঠন করেছিলেন আদালত।

গত ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১৬ জুলাই তার ওই মামলায় দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। রিমান্ডে নিয়ে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে উত্তরার তার একটি কার্যালয় থেকে অবৈধ অস্ত্র ও এবং জাল টাকা উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের চার মামলায় গত ২৬ জুলাই আদালত তার ৭ দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র‍্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর