কোতয়ালী থানার ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 22:53:09

চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে মামলার আবেদন করেন ব্যবসায়ী মো. রহিম। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ সংক্রান্ত আদেশ পরে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

যাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- কোতয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান, এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম এবং সোর্স দেলোয়ার হোসেন।

এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রহিম গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কাজ শেষে  চরকালিগঞ্জ জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৮ টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া ব্রীজের ওপর  অজ্ঞাতনামা তিনজন লোক তার গতিরোধ করেন।

তারা নিজেদের ঢাকা জেলার ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। রহিমের নামে ডিবিতে মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে জানায়। পরে তারা রহিমকে একটি দোকানে নিয়ে তল্লাশি করে। তবে তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করতে পারেনি।

দোকানে উপস্থিত লোকজন রহিমকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করে। তারপরও তারা রহিমকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে যায়। ওই অজ্ঞাতনামা তিন জন রহিমকে সিএনজিতে করে নিয়ে বাবু বাজার ব্রীজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার উপস্থিত ছিল। এ তিন আসামি তাদের কাছ থেকে ৬৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট বের করে বলে এগুলো রহিমের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। আনিসুল ইসলাম বলেন, যদি ফাঁসতে না চাস তাহলে দুই লাখ টাকা জোগাড় কর। না হলে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দিবো। এ থেকে বাঁচার জন্য রহিম তার কাছে থাকা এক ভরি স্বর্ণের চেইন, নগদ ১৩ হাজার টাকা তুলে দেয়। দাবিকৃত দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় তারা রহিমকে রাত সোয়া ৯টার দিকে থানায় নিয়ে আসে। পরে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে রহিম তাদের ৫০ হাজার টাকা দেয়। রাত ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে ওসি মিজানুর রহমান রহিমকে ডেকে নেন। তাকে বলেন, তোকে বাঁচিয়ে দিলাম। ছোট মামলা দিলাম, দুই একদিনের মধ্যে বের হয়ে আসতে পারবি।

অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, দাবিকৃত দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে ১০ পিচ ইয়াবার মামলা দিতে আদালতে প্রেরণ করে। ১৭ দিন জেলে থেকে ৩০ অক্টোবর মুক্তি পান রহিম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর