হাতীবান্ধায় মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারধরের অভিযোগ

, আইন-আদালত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট | 2023-09-01 08:03:15

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাদ্রাসায় পড়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মরধরের শিকার বাবা শহিদুল ইসলাম(৩৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাতে আহতের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার পশ্চিম বেজ গ্রামের ডাঙ্গীর পাড় এলাকার রসুলের ছেলে ও উত্ত্যক্তকারী শহিদ (১৮), শহিদের বাবা ও চাচা বাদশা মিয়া(৩০), মমিনুরের ছেলে মিজান (২০), মৃত সুলতানের ছেলে রসূল (৪০) ও শুক্কুর আলী(২৩)।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রাতে উপজেলার পশ্চিম বেজ গ্রামের ডাঙ্গীর পাড় এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

আহত শহিদুল ইসলাম উপজেলার পশ্চিম বেজ গ্রামের ডাঙ্গীর পাড় এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। এছাড়া ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কহিনুর পশ্চিম বেজ গ্রাম দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

জানা যায়, কহিনুর প্রতিদিন সকালে আরবি পড়তে মসজিদে যায়। প্রায় দিন কহিনুরের পথ রোধ করে বখাটে শহিদ। এ সময় বখাটে শহিদ তাকে নানা ধরণের আজে বাজে কথা বলে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে শহিদ জোড় পূর্বক টেনে হিছড়ে কহিনুরকে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কহিনুর তাকে ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসে বাড়ি গিয়ে তার মা মর্জিনা বেগমকে সব কিছু খুলে বলে। পরে তার মা বাবা শহিদুলকে বিষয়টি তা খুলে বলে।

গত ২৭ এপ্রিল শহিদুল ইসলাম শহিদের কাছে গিয়ে মেয়েকে উত্ত্যক্তে বিষয়ে জানতে চায় এবং প্রতিবাদ করেন। এ সময় শহিদের বাবা-চাচাদের সাথে শহিদুলের তর্ক-বিতর্ক লাগে। সেই জেরে ওই দিন রাতে শহিদুল মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ পড়ে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা পথ রোধ করে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে শহিদুলকে। এ সময় শহিদুলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক শহিদুলের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কহিনুর বলেন, ওই বখাটে শহিদ আমাকে প্রায় বিরক্ত করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের কু-প্রস্তাব দেয়। শুধু তাই নয় শহিদ আমার হাত ধরে টানাটানি করেছে। এর প্রতিবাদ করায় তারা আমার বাবাকে মারধর করেছে। আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই, সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নানী আদুরি বেগম বলেন, ওই ছেলে প্রায় আমার নাতনিকে বিরক্ত করে। প্রতিবাদ করায় সেদিন জামাইকে মারধর করেছে। বাড়িতে কেউ নেই। তারা বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। নাতনিকে নিয়ে ভয়ে আছি। যদি একা পেয়ে বড় কোন ক্ষতির চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদের সাথে কথা হলে সে জানায়, দাড়ান আমি বাড়িতে গিয়ে কল দিয়ে সব কিছু বলতেছি বলেই কলটি কেটে দেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর