কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, আটক ৩

, আইন-আদালত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী | 2023-08-24 16:48:05

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ কাদের মির্জার অনুসারী ৩জনকে আটক করেছে।

শুক্রবার (৭ মে) বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। দুই মামলায় আটককৃতরা হলো সাইফুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ জাবেদ ও মাসুদুর রহমান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, শনিবার (৮ মে) সকালে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের ওপর হামলার ঘটনায় সে বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েক জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। একই সময় বসুরহাট বাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েক জনকে আসামি করে ড্রিম লাইন পরিবহনের বাস ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, সংঘর্ষ ও বাস ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের আজ শনিবার ( ৮ মে) আদালতে পাঠানো হবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আর যাতে অবনতি ঘটতে না পারে সেজন্য বসুরহাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আটকৃতদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার (৮ মে) দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (৭ মে) দুপুর ২টায় বসুরহাট পৌর সভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শিমুল চৌধুরীসহ ১৫-২০ জন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা রুমেলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দু-পক্ষের সংঘর্ষে ভাইস চেয়ারম্যানের ভাতিজা কামরান পাশা মঞ্জিল (২৪) আহত হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা খিজির হায়াত খানের অনুসারী আক্রাম উদ্দিন সবুজ পরিচালিত ড্রিম লাইন পরিবহনের পাঁচটি বাস ভাঙচুর করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর