জাপানি নারীর দুই মেয়েকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-22 11:10:34

জাপানি নারীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশি বংশদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরানের জিম্মা থেকে দুই শিশুকে উদ্ধারের পর আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৩ আগস্ট) জাপানের নাগরিক নাকানো এরিকোর রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এমন সিদ্ধান্ত জানান।

এর আগে, শিশুদের বাবার তত্ত্বাবধায়ন থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের উদ্ধার করে। সিআইডি জানিয়েছে, শিশুদের বাবা তাদের আদালতে হাজির করবেন না বলে তথ্য ছিল বলেই বনানীর বাসা থেকে শিশুদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। রোববার দিবাগত রাতেও তাদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান জাপানি আইন অনুসারে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বাসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে তিনটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। তারা হচ্ছেন জেসমিন মালিকা (১১), লাইলা লিনা (১০) এবং সানিয়া হেনা (৭)। এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। তিন মেয়ে টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসজেআই) শিক্ষার্থী ছিলেন।

২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি ইমরান তার স্ত্রী এরিকোর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। এরপর ২১ জানুয়ারি ইমরান স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু তাতে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তার প্রস্তাব নাকচ করে।

পরবর্তীতে স্কুলবাসে বাড়ি ফেরার পথে বাস স্পপেজ থেকে ইমরান তাদের বড় দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। চার দিন পর ২৫ জানুয়ারি ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছে বাচ্চাদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। কিন্তু এরিকো তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর মধ্যে ২৮ জানুয়ারি এরিকো টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার বাচ্চাদের জিম্মার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে পারিবারিক সাক্ষাতের আদেশ দেন। ইমরান আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে মাত্র একবার মায়ের সঙ্গে দুই মেয়ের সাক্ষাতের সুযোগ দেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর