‘লিয়াকত সিনহাকে গুলি করেন, ওসি প্রদীপ মৃত্যু নিশ্চিত করেন’

, আইন-আদালত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2023-08-29 13:30:18

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে ইন্সপেক্টর লিয়াকত গুলি করেন এবং গলায় পা দিয়ে সিনহাকে ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ হত্যা করেছেন বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এই মামলার পঞ্চম সাক্ষী বাহারছড়ার বায়তুন নুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. আমিন।

মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে এই মামলার দ্বিতীয় দফায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা বিরতির পর বিকাল ৫টা পর্যন্ত আদালতের বিচারিক কার্যক্রম চলে।

কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে আজ সাক্ষী হাফেজ মোহাম্মদ আমিন তার জবানবন্দি দেন। তিনি ঘটনাস্থলের কাছের একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং এ ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী।

সাক্ষী মোহাম্মদ আমিন বলেন, মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টের বিপরীতের আমার কর্মরত মসজিদে এশার নামাজের পর অপেক্ষা করছিলাম। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে দৌড়ে চেকপোস্ট এলাকায় আসি। দেখি ইন্সপেক্টর লিয়াকত এক লোককে গুলি করেছেন। প্রথম গুলির পর পর আরেকটি গুলি করেন। কাছে গিয়ে লাথি দিলে লোকটি সড়কে নেতিয়ে পড়ে। তখন আরও দুই রাউন্ড গুলি করা হয়। রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেও তখনো তিনি জীবিত ছিলেন। পানি পানি বলে ছটফট করছিলেন। কিন্তু কেউ তাকে পানি দেয়নি। অল্পক্ষণ পর টেকনাফের দিক থেকে আসা গাড়ি থেকে নেমে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। তিনি গাড়ি থেকে নেমে ইনসেপ্ক্টর লিয়াকতের সঙ্গে কথা বলেন। পরে গুলিবিদ্ধ লোকটির কাছে আসেন প্রদীপ। তখন লোকটি পানি চায় আবার। কিন্তু প্রদীপ সিনহাকে পানি না দিয়ে বুকে লাথি মারেন।

সাক্ষীর জবানবন্দির পর ১৫ জন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন বলে জানিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

আজ মামলার মোট ১৫ জন আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, তার দেহরক্ষী কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার আওতাধীন বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এস আই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর