লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছয় ছাত্রের চুল কেটে দেওয়া সেই মাদরাসা শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির মঞ্জুর জামিন নামঞ্জুর করছেন আদালত।
রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতের বিচারক তারেক আজিজ শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরকে আদালতে হাজির করে জামিন আবেদন করা হয়। আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষক মঞ্জুকে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজিরদিঘীর পাড় এলাকা থেকে আটক করা হয়। মধ্যরাতেই মাদরাসাছাত্র শাহাদাত হোসেনের মা শাহেদা বেগম বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঞ্জু রায়পুরের হামছাদী কাজিরদিঘীরপাড় আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ও বামনী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির।
পুলিশ সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীরা ১৮ সেপ্টেম্বর শ্রেণিকক্ষে পাঠ্য কার্যক্রমে অংশ নেয়। একপর্যায়ে শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির দশম শ্রেণির (দাখিল) ৬ ছাত্রকে দাঁড় করিয়ে শ্রেণিকক্ষের সামনের বারান্দা আসতে বলেন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একটি কাঁচি এনে একে-একে সবার মাথার টুপি সরিয়ে সামনের অংশের চুল এলোমেলোভাবে কেটে দেন।
পরে তারা লজ্জায় ক্লাস না করেই বেড়িয়ে যায়। এ ঘটনার ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে কয়েকজন ছাত্রকে কান্না করতেও দেখা গেছে।