কুমিল্লা নগরের নানুয়া দিঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার মামলায় গ্রেফতার ইকবাল হোসেনসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তৃতীয় দফায় তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- রেজাউল ইসলাম ওরফে ইকরাম, মাজারের হুজুর মো. হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ ও খাদেম আশিকুর রহমান মোহাম্মদ ফয়সল।
এর আগে শনিবার (২৩ অক্টোবর) একই মামলায় ৪ আসামি ইকবাল হোসেন, ৯৯৯-এ কল করা ইকরাম, মসজিদের খাদেম ফয়সাল ও তার সহযোগী হুমায়ুনের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ সময় পুলিশের একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে পবিত্র কোরআন অবমাননার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইকবাল। তবে কেন এই কাজ সে করতে গেল, কিংবা তাকে দিয়ে এই কাজ কারা করিয়েছে, ঘটনার নেপথ্যের ব্যক্তিরা কারা-এসব প্রশ্নের কোনো জবাব এখনো পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে সে (ইকবাল) একেক সময় একেক কথা বলছে, তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু কোনো প্রশ্নেরই সোজাসাপটা উত্তর দিচ্ছে না। তবে ইকবাল হোসেনের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ যাদের ঘনিষ্ঠতা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, তাদেরকেও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ের একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী রাস্তা ও বাসাবাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে ইকবাল হোসেন শনাক্ত হয়। তাকে গত শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল হোসেন পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা এবং প্রতিমা থেকে গদা সরানোর বিষয়টি স্বীকার করে।