রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে। আদালতে নেওয়া হয়েছে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ আসামিকে।
অপর চার আসামি হলেন, সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। ৫ আসামিকে মহানগর দয়রা কোর্টের জেলখানায় রাখা হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক ও জেলখানার ইনচার্জ মো. আব্দুল হাকিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারন করে ৫ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ বার্তা২৪.কমকে জানান, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে মনে করে। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে মর্মে প্রত্যাশা করেন।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে নিম্ম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখায় রায় ঘোষণা পেছানো হয়েছিল। এর আগেই একবার রায়ের তারিখে পেছানো হয়।
রায়ের তারিখ ঘোষণার আগে চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাফাত আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষনে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের মধ্যে রহমত আলী ছাড়া অপর চার আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই দুই তরুণীকে নিয়ে আসা হয়। উপর্যুপরি মদ খাওয়ানোর পর ওই দুই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।