মানবতাবিরোধী অপরাধে লিয়াকত আলী ও আমিনুলের ফাঁসি

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 18:32:54

মানবতাবিরোধী অপরাধে হবিগঞ্জের লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলীর বিরুদ্ধে সাত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুজনই পলাতক রয়েছেন।

সোমবার (৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত লিয়াকত অালী হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা। আমিনুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের বাসিন্দা।

এই দুই আসামির বিরুদ্ধে গণহত্যা, লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সাত অভিযোগের প্রত্যেকটিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিটি অপরাধে আলাদা আলাদা করে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন ও মোখলেসুর রহমান বাদলসহ কয়েকজন প্রসিকিউটর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রায়ের পর রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আসামিদের ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন।’

২০১৬ সালের ১ নভেম্বর এই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর ২০১৬ সালের ৮ মে দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

হবিগঞ্জের লাখাই থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানা ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানা এলাকায় গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও লুটপাটের সাতটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

লিয়াকত আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ছাত্র থাকাকালীন মুসলিম লীগের সদস্য হিসেবে ফান্দাউক ইউনিয়নে রাজাকারের দায়িত্বে ছিলেন। আমিনুল ইসলাম ভৈরব হাজী হাসতম আলী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন ইসলামী ছাত্র সংঘের কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভৈরবের পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এলাকায় আল বদর বাহিনী গঠন করেছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর