সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের নারী বিদ্বেষী, বর্ণবাদী, যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ডা. মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও-ভিডিও অপসারণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক (সুমন)।
ব্যারিস্টার সুমন আদালতে বলেন, ডা. মুরাদ হাসানের নারী বিদ্বেষী, বর্ণবাদী ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য জরুরিভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণ করা প্রয়োজন। অপসারণ না করলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এই ধরনের গালাগালি এবং অশ্লীল কথা বার্তা শুনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিও দ্রুত সরাতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।
এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আগে বিষয়টি শুনি। কিন্তু ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালতে না আসায় এ বিষয়ে কোনো আদেশ হয়নি।
তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালদো জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, নাতনি জায়মা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন যা নারী বিদ্বেষী, বর্ণবাদী, বিকৃতরুচি সম্পন্ন ও যৌন হয়রানিমূলক। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী। এর জেরে ডা. মো. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।