‘স্থায়ী ঠিকানা না থাকলে চাকরি হবে না, এটা হতে পারে না’

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 18:32:32

মেধা তালিকায় প্রথম হয়েও জেলায় জমি না থাকায় পুলিশের কনস্টেবল পদে খুলনার মীম আক্তারের চাকরি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।মীম আক্তারকে কেন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত বলেন, ঠিকানা না থাকলে চাকরি হবে না, এটা হতে পারে না। কোথায় তারা নারীদের উৎসাহ দেবে সেটা না করে নিরুৎসাহিত করছে। এমনটা হতে পারে না।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।

পত্রিকার প্রতিবেদন উপস্থাপন করে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আনিচুর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

মীমের আবেদনপত্র সূত্রে জানা গেছে, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ৩ নম্বর আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকেন মীম ও তার পরিবার। তার বাবার নাম মো. রবিউল ইসলাম। খুলনার বয়রা ক্রস রোডে ভাড়ায় ছোট্ট একটি দোকান নিয়ে লেপ-তোশকের ব্যবসা করেন তিনি।

মীম আক্তার বলেন, পুলিশের কনস্টেবল পদে ২৫ অক্টোবর খুলনা শিরোমনি পুলিশ লাইন্সে শারীরিক যোগ্যতা যাচাই হয়। ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর তিন দিন ধরে চলা শারীরিক যোগ্যতা যাচাইয়ে আমি উত্তীর্ণ হই। এরপর ২৮ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা হয় খুলনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এতে উত্তীর্ণ হই। এরপর মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হই। ফলাফলে জানতে পারি আমি মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছি। এরপর খুলনা জেলা পুলিশ লাইন্সে সাধারণ মেডিকেল পরীক্ষা হয়। সেখানেও উত্তীর্ণ হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, গত ১২ নভেম্বর রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে। সেখানে ১৩ নভেম্বর সকালে মেডিকেল পরীক্ষা হয়। তারপর বাড়িতে ফিরে আসি। সেখান থেকে বলা হয়েছিলো, পরবর্তীতে ফলাফল জানানো হবে। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হয়। সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ও সিটিএসবি থেকে বাড়িতে তদন্তে আসে। তাদের কাছে ভূমিহীন সার্টিফিকেট জমা দিয়েছি। তারা বলেছিলেন, ৫ ডিসেম্বর আমাকে জানাবেন। ফোন দিয়ে ৭ ডিসেম্বর জেলা পুলিশ লাইন্সে ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য ডাকা হয়। সেখানে পাঁচ আঙুলের ছাপ দিয়ে এসেছিলাম। সেখান থেকে বলেছিল, পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

কিন্তু আমাকে কিছু না জানানোর কারণে আমি শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ লাইন্সে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসপি’র সঙ্গে কথা করতে বলে। এরপর শনিবার (১১ ডিসেম্বর) খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়েছি। পুলিশ সুপারকে পাইনি। ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভির আহম্মেদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তোমার সব ঠিক আছে। তবে স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় তোমার চাকরিটা আমরা দিতে পারছি না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর