কক্সবাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 06:05:03

কক্সবাজারের ঝিলনজা, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টসহ সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আদালত। এর ফলে উচ্ছেদ অভিযানে আর কোন বাধা রইল না। জেলা প্রশাসক এই উচ্ছেদ অভিযানে আদেশ পালন করবেন।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

মনজিল মোরসেদ জানান, এর আগে ২০১১ সালের ৭ জুন মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা তৈরি বন্ধ ও স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে আদেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গে রুল জারি করেন। আজ ওই রুলের ওপর শুনানি হয়েছে।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে সমুদ্রতীর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রকল্প নির্মাণ বন্ধ রাখতে নির্বাহী প্রকৌশলী তানভির সাইদ আহেমেদকে লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এ নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এরপর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তলবে উপস্থিত হয়ে বলেন- অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ওপর হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা (স্ট্যাটাস-কো) থাকায় কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছি না।

আইনজীবী আদালতের শুনানিতে বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, মেয়রের যোগসাজশে দোকান মালিকদের থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আর সরকারে কোষাগারে দোকান প্রতি কয়েক হাজার টাকা জমা দিয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে কক্সবাজার-টেকনাফ সৈকত এলাকার ঝিলনজা মৌজাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ হয়। এরপর হোটেল-মোটেল জোন এলাকার কিছু স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা দিলে হোটেল মালিকরা রিট করলে তা খারিজ হয়। একই সঙ্গে পাবলিক ট্রাস্ট ঘোষণা করে সমুদ্র সৈকত রক্ষার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে আপিল হলে তাও খারিজ হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর