দুই পুলিশ খুনের মামলার রায় দুপুর ১২টায়

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 09:32:52

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) দুই পুলিশ সদস্যের হত্যা মামলার রায় দুপুর ১২টায় ঘোষণা করা হবে।

ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামালের আদালতে মামলাটির বিচার চলছে।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান দুপুর নাগাদ রায় ঘোষণা হওয়ার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন।

হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হচ্ছে। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল কর্মরত অবস্থায় তারা খুন হন।

নিহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন, আবুল হাসনাইন আজম খান ও কামরুল আলম খান ঠাকুর। তারা মাদারীপুর জেলায় ডিএসবির ডিআইও এবং প্রধান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আসামিরা হলেন, আবদুল আজিজ ওরফে সামাদ খাঁ ওরফে সামাদ মেম্বার, জসিম শেখ, মাছিম শেখ, ছায়েদ মাতুব্বর ওরফে ছায়েদ, মজনু মাতুব্বর, সাত্তার তালুকদার, শাহাদাত আকন, উজ্জ্বল হাওলাদার, জাফর মাতুব্বর, কুব্বাস মাতুব্বর, দবির মোল্লা, দাদন ফকির ওরফে দাদন টেইলার, মোশারফ হোসেন, মোতালেব মাতুব্বর ওরফে মোতালেব মেম্বার, আমির হোসেন শেখ, ফয়েজ শেখ, দিপু ওরফে টিপু বিশ্বাস, সুমন ওরফে শামীম, আসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম বাবু ওরফে বাবুল, মোশারফ শেখ, আশ্রাব শরীফ, হালিম আকন, মিরাজ শিকদার, নজরুল ওরফে নুরুল ইসলাম, মাসুদ শিকদার, হেলাল শিকদার, বজলু আকন, আজাদ মোল্লা, হেমায়েত মোল্লা ওরফে মুন্সি মোল্লা, শওকত মোল্লা ওরফে সাগু মেম্বার, সুমন বাঘা এবং আবুল কাশেম মোল্লা।

আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুসারে, ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল নিহতরা মোটরসাইকেল যোগে রাজৈর উপজেলার শাখার পাড় যাওয়ার পর আসামিরা তাদের পথরোধ করেন। ওই সময় নিহতরা তাদের পরিচয় দিলে আসামিরা তাদের ট্রলারে উঠিয়ে হত্যা করে। এরপর তাদের লাশ টুকরো টুকরো করে ট্রলার থেকে নদীতে ছিটাতে ছিটাতে চলে যায়। তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটিও নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

২০০৭ সালের ৬ আগস্ট মাদারীপুরের রাজৈর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মোল্লা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার মোট আসামি ৩২ জন। তাদের মধ্যে চারজন বন্দুকযুদ্ধে এবং দুজন বিচারকালে মারা যান। বাকি ২৬ আসামির মধ্যে ১৩ জন পলাতক, ১২ জন জামিনে এবং দিপু ওরফে টিপু বিশ্বাস কারাগারে আটক আছেন।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর