‘মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কেন স্বাধীন হতে পারব না’

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 01:36:28

আমরা রক্ত দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। যদি এভাবে একটি ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি, তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারব না।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের আদালতগুলোতে অনেক মামলা জমে গেছে। এ মামলার জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে, যে বিচারিক সেবা পেতে এই দেশের মানুষের হক রয়েছে, সেখান থেকে তারা বঞ্চিত হবে। আমরা পরিশ্রম করে রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এই দেশ স্বাধীন করেছি। সেই ইতিহাস সবাই জানেন। আমরা যদি এভাবে এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারব না।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই জানি এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের তিনটি অর্গানের মধ্যে একটি হচ্ছে জুডিশিয়ারি। আমরা যারা এই বিভাগে আছি বিচারক, আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী এবং বিচারিক আদালতের কর্মকর্তা- কর্মচারী, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে এ দেশের মানুষের বিচারিক সেবা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, আমি আমাদের বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছি আপনারা পরিশ্রম করে এখন যত সংখ্যক কেইস ফাইলিং হচ্ছে তার থেকে নিষ্পত্তি যাতে বেশি হয়। ১২০টি কেইস ফাইলিং হলে যদি ১২৫টি নিষ্পত্তি হয় তাহলে ৫/৬ বছরের মধ্যে মামলা জট কমে আসবে। এখন যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে বিচারপ্রার্থীদের বের করে আনতে পারব। আদালতের বারান্দায় মাসের পর মাস বছরের পর বছর বিচার পাওয়ার জন্য তাদেরকে আর ঘুরতে হবে না।

তিনি বলেন, এই ন্যায়কুঞ্জ তাদের জন্য, যারা এখানে বিচার পেতে আসেন তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সারাদেশের আদালতগুলোতে এই ধরনের ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করছি। এর আগে প্রধান বিচারপতি আদালত প্রাঙ্গণে কয়েকটি বৃক্ষরোপণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ মোঃ আছাদুজ্জামান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী ও ঢাকার বিচার বিভাগীয় অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, আদালতের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান, ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ আসাদুজ্জামান, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল, আইনজী আব্দুল বাতেন, মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের।

প্রধান বিচারপতির সফরসঙ্গী হিসাবে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্টার মোঃ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার (বিচার) এসকে, এম তোফায়েল হাসান এবং প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মোঃ আরিফুল ইসলাম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর