অবন্তিকার মৃত্যু: সহপাঠী আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলাম রিমান্ডে

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-03-18 12:54:18

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর দুই দিনের এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বীন ইসলামের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় তাদের কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর পুলিশ শিক্ষক দ্বীন ইসলামের দুদিন ও সহপাঠী আম্মানের পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে। এরপর শুনানি শেষে আদালত শিক্ষকের একদিন ও সহপাঠীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গত শনিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলা করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফাইরুজ অবন্তিকা নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক ছাত্রী কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। মৃত্যুর আগে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের মৃত্যুর জন্য নিজের সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন। এরপরই ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামেন জবি শিক্ষার্থীরা।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে শুক্রবার রাত ২টার দিকে আম্মান সিদ্দিকী নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া পোস্টে লেখেন, দুই বছর আগে অবন্তিকা নিজেই ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদমূলক কথা লেখেন। পরে বিষয়টি সে নিজে স্বীকার করে নিলে প্রক্টর অফিস থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। এরপর অবন্তিকার পরিবারের পক্ষে তার বাবা এসে অঙ্গীকার নামা দেন যে, তার মেয়ে ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করবে না।

এ সংক্রান্ত জিডির কপি, কারণ দর্শানোর নোটিশ, অঙ্গীকারনামা এবং কিছু মেসেঞ্জারে আসা মেসেজের স্ক্রিনশট লেখার সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন আম্মান।

অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর