দেশের বাজারে বোতলজাত খাবার পানির মান নির্ণয় করে আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) পক্ষ থেকে সময় আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী শাম্মী আক্তার। অন্যদিকে বিএসটিআই এর পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
পরে জে আর খান রবিন বলেন, বাজারের বোতলজাত পানির মান পরীক্ষা করে আজ হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারণ করা ছিলো। কিন্তু বিএসটিআই এর পক্ষ থেকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে সময় চাওয়ায় আদালত আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে তাদেরকে প্রতিবেদন দাখিলের সময় মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর বাজারে বেআইনীভাবে বোতলজাত খাবার পানির সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিলো। পাশাপাশি আদালতের আদেশের পর বিএসটিআই কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছিলো।
এছাড়াও প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সরকারের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। খাদ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ সংশ্লিষ্ঠ সাতজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল সহ উক্ত আদেশ দেন।
২০১৮ সালের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে একই বছরের ২৭ মে আইনজীবী শাম্মী আক্তার জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল সহ আদেশ দেন।