জুলহাস-তন্ময় হত্যা: প্রধান আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 06:52:16

মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ইউএস এইড কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তন্ময়কে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি জুবায়েদুল ইসলাম ফখরুল ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে ফয়সালের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) আসামি ফখরুলকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুনার রশিদ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে জুবায়েদকে টঙ্গি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

গ্রেফতারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মোট ১৩ জন সদস্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে।

দুইটি গ্রুপের সমন্বয়ে এ হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন হয়। একটি কিলিং গ্রুপ অন্যটি ইনটেল গ্রুপ। কিলিং গ্রুপের পাঁচ সদস্যের চারজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিলেন এই ফখরুল।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সমকামিদের অধিকার বিষয়ক পত্রিকা ‘রূপবান’ এর সম্পাদক জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তন্ময়কে সমকামিতায় সমর্থন দেওয়ার জের ধরেই তাদেরকে হত্যা করা হয়।

এ মামলায় ৬ আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন কারাগারে ও ১ জন হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন।

কারাগারে আটককৃত আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হোসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম, রশিদ উন নবী, ইয়ামিন মিয়া জাবেদ ও শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জোবায়ের। আসামি শরিফুল ইসলাম ওরফে কেরামত হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন।

আসামিদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম, রশিদ উন নবী ও শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জোবায়ের গত বছরের ২২ জুলাই খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বিকেলে কলাবাগান লেক সার্কাস লাল ফকিরের মাজার এলাকায় ৩৫ নম্বর আছিয়া নিবাসের দ্বিতীয় তলায় জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে হত্যা করা হয়।

জুলহাস মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ইউএস এইডে কর্মরত ছিলেন। নিহত আরেকজন জুলহাসের বন্ধু থিয়েটার নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়।

এ ঘটনায় নিহত জুলহাসের ভাই ইমন মান্নান দণ্ডবিধি আইনে ও পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় পৃথক দু’টি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পার্সেল ডেলিভারির কথা বলে কয়েকজন যুবক বাসায় ঢুকে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করে। জুলহাসের মরদেহ বেডরুমে এবং তনয়ের মরদেহ ড্রইংরুমে পাওয়া যায়। তাদের চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া সিসিটিভির ফুটেজে পাঁচজনকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে।

আগামী ২২ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য আছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর