ব্যারিস্টার মইনুলের মুক্তিতে বাধা নেই

, আইন-আদালত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-29 01:59:07

মানহানির অভিযোগে দায়েরকৃত ১৪ মামলার জামিন বহাল থাকায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননি ‘নো অর্ডার' আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির। মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাসুদ রানা।

এর আগে মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় দায়ের হওয়া মামলার মধ্যে ১৫ টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে মইনুল হোসেনকে ছয় মাসের জামিনের আদেশ দেন হাইকোর্ট। মইনুলের পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন আদালতে দায়ের করা ১৫ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও তিনটি মামলা বিচারের প্রক্রিয়ায় না থাকায় এসব মামলায় তার জামিনের প্রয়োজন নেই। ফলে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকছে না।

অপরদিকে হাইকোর্টে জামিন পাওয়া ১৫ মামলার মধ্যে ১৪ টি মামলার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন জানায়। কিন্তু চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেওয়ায় মইনুল হোসেনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকল।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন' বলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তার এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।

এরপর রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে মামলা হয়। রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাকে রংপুরের কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর