হোলি আর্টিজান মামলার আসামি অন্য মামলায় রিমান্ডে

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 10:04:20

বহুল আলোচিত হোলি আর্টিজান হত্যাকাণ্ড মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি নব্য জেএমবির অস্ত্র ও অর্থ জোগানদাতা মামুনুর রশীদ ওরফে রিপনকে অন্য একটি মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত

রোববার (২০ জানুয়ারি) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সবুজবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তাকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কনক বড়ুয়া ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গাজীপুরের টঙ্গীর বোর্ড বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

তাকে গ্রেফতারের পর র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নব্য জেএমবির তিনটি কাজের দায়িত্ব ছিল মামুনুর রশীদের উপর। সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করা এবং অর্থ সংগ্রহ করা। বিভিন্ন জায়গায় হামলার আগে অর্থ সংগ্রহ করার ধারাবাহিকতায় হোলি আর্টিজান হামলার পূর্বে ৩৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করে, আমিরের হাতে তুলে দেন মামুনুর।’

মুফতি মাহমুদ খান আরও বলেন, ‘হোলি আর্টিজান ঘটনার পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের ফলে বাংলাদেশের জঙ্গিরা নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে। তখন ২০১৬ সালে আত্মগোপনে যাওয়া মামুনুর রশীদ ২০১৮ সালে ফিরে পুনরায় জঙ্গিদের সংগঠিত করার চেষ্টা চালায়।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালানো হয়। এতে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।

এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।

পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়। ২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

ঘটনায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় করাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন, রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ। আসামি শরিফুল ইসলাম এখন পলাতক আছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর