চট্টগ্রামে কবিরাজ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2024-07-03 15:56:27

আট বছর আগে চট্টগ্রামের রাউজানে এক কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ. এম শফিকুল ইসলাম এ রায় দেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

তিনি বলেন, রাউজানে ২০১৬ সালে কবিরাজ সুলাল চৌধুরী হত্যা মামলায় আদালত চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামের পরিমল চৌধুরীর ছেলে মিঠু চৌধুরী, একই এলাকার মৃত সন্তু চৌধুরীর ছেলে সুমন চৌধুরী (৩৫), আবদুর রহমান চৌকিদারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫) এবং মৃত শাহ আলমের ছেলে এরশাদ হোসেন (৩৫)।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামের নীল কমল কবিরাজের বাড়ির মৃত ডা. পায়রিণ চৌধুরীর ছেলে সুদ্বীপ চৌধুরী প্রকাশ সঞ্জিত চৌধুরী। মামলা থেকে খালাস পান রাউজান থানার চিকদাইর মুন্সী পাড়ার নুর মোহাম্মাদের ছেলে মো. ইলিয়াস প্রকাশ ইলু (৩০)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম সুলাল চৌধুরী রাউজান উপজেলার আজাদী বাজারের যুগিরহাট চাউল বাজারে অভয়া উৎঘালয় নামে একটি ফার্মেসি চালাতেন এবং কবিরাজি পেশায় ছিলেন। ২০১৬ সালের ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে ফার্মেসির কাজ শেষে রিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।

ফেরার পথে নোয়াজিশপুর চিকদাইর সড়কের নীল কমল কবিরাজের বাড়ি সংলগ্ন প্রিয়তোষ চৌধুরী চেয়ারম্যান বাড়ির পশ্চিমে পৌঁছলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রকাশ ইলুসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তার গলায়, মাথায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে চলে যায়। ওইদিন রাত ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় ওই ডোবা থেকেই।

ঘটনার তিনদিন পর ভিকটিমের ছেলে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক ছয়মাস পর ২৭ ডিসেম্বর মোট ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুদীপ কান্তি নাথ বলেন, এ মামলায় মোট আসামি ছিল ছয়জন। দীর্ঘ ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা করে আসামিদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত এই রায় প্রদান করেন। রায় প্রচার কালে আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে একজন আদালতে উপস্থিত ছিল। বাকি তিনজন পলাতক আছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।

আদালত রায় প্রচার শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান এই আইনজীবী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর