নেত্রকোনার পাঁচ রাজাকারের রায় ঘোষণা যে কোনোদিন

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম | 2023-08-23 16:31:24

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি সিএভি (রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ) রেখেছেন আদালত।

সোমবার (২৮ জানুয়ারি) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম এবং দুই সদস্য বিচারপতি আমীর হোসেন ও বিচারপতি মোঃ আবু আহমেদ জমাদারের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি সিএভি করে আদেশ দেন।

এ সময় ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম।

সোমবার আদালতে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।

আসামি শেখ মো. আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানা (৬৬) ছাড়াও অপর চার আসামিরা হলেন, মো. আব্দুল খালেক তালুকদার (৬৭), মো. কবির খান (৭০), আব্দুস সালাম বেগ (৬৮) ও নুরউদ্দিন (৭০)। এদের সকলেই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

এই মামলার আসামি ছিলেন সাতজন। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে আহাম্মদ আলী (৭৮) মারা যান। আর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় মারা যান আরেক আসামি আব্দুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে মজিদ মওলানা মুক্তিযুদ্ধের সময় নেজামে ইসলামির নেতা হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আর খালেক তালুকদার একাত্তরে মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বর্তমানে তিনি পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

এছাড়া কবির খান মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন, বর্তমানে উপজেলা বিএনপির সদস্য। আব্দুস সালাম বেগ ও নুর উদ্দিনও মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন, বর্তমানে তারা বিএনপির সমর্থক।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট দুপুর একটায় বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যার পর কংস নদীতে মরদেহ ভাসিয়ে দেয় রাজাকাররা। ২০১৩ সালে শহীদ আব্দুল খালেকের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আ.কাদির বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর