বেনজীরের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-07-28 15:51:07

বহুল আলোচিত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৮ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিতে বেঞ্চে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

তদন্তে বেনজীরের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম।

সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নে খুরশিদ আলম বলেন, অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়টি দুদকের অনুসন্ধানকারী দল খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি দেশের বাইরে আরও কিছু রয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে অনুসন্ধানের অগ্রগতির দুই মাস পর হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরবর্তীতে গত ২৩ মে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ও ২৭টি ব্যাংকের ৩৩টি আকাউন্ট জব্দের (ক্রোক) নির্দেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে ২৬ মে একই আদালত তিনি ও তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানের আরও ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দেরও নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে চিঠি দেয় দুদক। এছাড়া, এফডিআর, সঞ্চয়পত্রসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে জয়েন্ট স্টক, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরেও চিঠি দেয় সংস্থাটি।

এদিকে, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের নামে থাকা বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও) স্থগিত করার নির্দেশও দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে, তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‍্যাব এবং র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর