চার কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২৬ বছর আগে দায়ের করা এক মামলায় রায়ে সোনালী ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের সাড়ে ৬ কোটি টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সোনালী ব্যাংকের বায়তুল মোকাররম শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার আজহার হোসেন ও জহিরুল হক চৌধুরী, ক্যাশ অফিসার নাজিম উদ্দিন এবং জনৈক মানিক মিয়া।
আসামি আজহার হোসেন, জহিরুল হক চৌধুরী ও নাজিম উদ্দিনকে ১০ বছর করে ও আসামি মানিক মিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে সব আসামিকে সাড়ে ৬ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে জমা না দিলে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থেকে আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে নাজিম উদ্দিন ও মানিক মিয়া রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠান হয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের বায়তুল মোকাররম শাখার সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক এ এস এম আব্দুল মতিন আনসারী মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।
১৯৯৮ সালের ৩১ মার্চ এর আগে যে কোন সময় আসামিরা ৪ কোটি ২০ লাখ সাত হাজার ৪২০ টাকা আত্মসাৎ করেন মর্মে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
২০০৯ সালের ২১ জুন দুদকের সহকারি পরিচালক আবুল কাশেম আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।