সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা কোচিং করাতে পারবেন না

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 12:15:32

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারের করা নীতিমালা বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই নীতিমালার বাইরে কোনো কোচিং করা যাবে না।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। কোচিং বাণিজ্য নিয়ে ৫টি রিট আবেদনে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত।

আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মো. জিয়াউল কবির দুলু ২০১১ সালে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। এই রিট আবেদনে আদালত রুল জারি করেন।

এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে একটি নীতিমালা করে। এর পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুদক থেকে ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ড. ফারহানা খানম, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ কবীর চৌধুরী, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষক শাহজাহান সিরাজ এবং অভিভাবক মো. মিজানুর রহমানকে নোটিশ দেয়।

এই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক পৃথক রিট আবদেন করেন। এ রিট আবেদনে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এসব রুলের ওপর চুড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেন আদালত। এরমধ্যে ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ড. ফারহানা খানমকে দেওয়া নোটিশ অবৈধ বলে রায় দেন আদালত। আর ২০১১ সালে করা রিট আবেদন অকার্যকর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাকী তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

আদালত বলেন, সরকার রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সময়ে সময়ে পরিপত্র, নীতিমালা, গাইডলাইন, সার্কুলার, বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে। এটা সরকারের সাংবিধানিক অধিকার। এজন্য জাতীয় সংসদে আইন পাশ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।

আদালত বলেন, গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে(দুদক) গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য দুদকের জনবলের সংকট রয়েছে সেখানে দুদক কোন কোন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করবে তার একটি অগ্রাধিকার তালিকা থাকতে হবে দুদকের কাছে।

কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মো. জিয়াউল কবির দুলু ২০১১ সালে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। এই রিট আবেদনে আদালত রুল জারি করেন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে একটি নীতিমালা করে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুদক থেকে ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ড. ফারহানা খানম, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ কবীর চৌধুরী, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষক শাহজাহান সিরাজ এবং অভিভাবক মো. মিজানুর রহমানকে নোটিশ দেয়। এ নোটিশ চ্যালেঞ্জ পৃথক পৃথক রিট আবদেন করেন। এ রিট আবেদনে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এসব রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেন আদালত। এরমধ্যে ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ড. ফারহানা খানমকে দেওয়া নোটিশ অবৈধ বলে রায় দেন আদালত। আর ২০১১ সালে করা রিট আবেদন অকার্যকর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাকী তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর