বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগের মামলায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মাকছুদুর রহমান আনছারী নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্বেচ্ছায় উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক মুস্তাফিজুর রহমান জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মাকছুদুর রহমান আনছারী গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট দুপুরের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ইসলামপুর অডিটরিয়ামের সামনে একত্রিত হয়। এ সময় আন্দোলন ঠেকাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের নেতৃত্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, এবং আওয়ামী লীগ নেতাসহ অজ্ঞাতনামা ৮০ থেকে ৯০ জন আসামি দা, লোহার রড, হকিস্টিক, শার্ট গানসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পূর্বকল্পিতভাবে আন্দোলনরত ছাত্রদের মারধর করে।
এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করান।
ওই ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী আকন্দপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আইয়ুব আলী বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি মাকছুদুর রহমান আনছারী।
এ মামলায় এজহারভুক্ত ১৭ নম্বর আসামি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান আনসারী।
মামলার বাদি আইয়ুব আলী বলেন, মাকসুদুর রহমান আনসারী ওই হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাই তার নামে মামলা করা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচারের আশায় আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করছি ন্যায়বিচার পাব।
ইসলামপুর থানার ওসি সাইফুল্লাহ (সাইফ) বলেন, মাসুদুর রহমান আনসারীর নামে মামলা হয়েছে। আগাম জামিন নিতে গেলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী বলেন, জামালপুরের চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।