সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ এস এম জিয়াউর রহমান তাকে খালাসের রায় প্রদান করেন।
জয়নুল আবদিন ফারুকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হলো মর্মে খালাসের আবেদনে উল্লেখ করা হয়। রায় ঘোষণার সময় জয়নুল আবদিন ফারুক আদালতে হাজির ছিলেন।
খালাস পেয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হলো তারই প্রেক্ষিতে আজ স্বাধীন রায় হলো। বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন। বিচারকদের এখন আর কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় না। বিপ্লবী ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি আজকের রায়ে তা প্রমাণিত হলো। আমি খালাস পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, খালাস উৎসর্গ করলাম ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যারা গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত দিয়েছে। আমার অনুভূতি একটায় দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকুক। যে দলের হোক, যে মতের হোক বিচার বিভাগ যেন সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হয়। বিচার করার সাহসিকতা আজ দেখেছি। বিগত দিনের মত যেন আর বিচার না হয়।
ফারুকের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয়নাল আবেদীন ফারুক নোয়াখালী ১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালে ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট ১৯৯৯ পর্যন্ত দুদকের পক্ষ থেকে তার পরিবারসহ সবার সম্পদ বিবরণী দেয়ার নোটিশ দেয়া হয়। ৪৫ দিন সময় পেয়েও তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।
২০০০ সালের ১৯ জানুয়ারি ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
২০০১ সালের ১৭ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক ইমদাদুল হক। ২০০৬ সালের ২৩ মার্চ তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।