অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানকে দুদকের নামে প্রেরিত ভুয়া চিঠির বিষয়ে তদন্ত করতে দুদকের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া চিঠির বিষয়ে তদন্ত করতে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি শেষে এই আদেশে দেন।
রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক, দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
এর আগে দুদকের পক্ষে গত বছরের ১১ অক্টোবর দুদকের পক্ষে ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। গ্যাসবিল, বিদ্যুৎ বিল, ভ্যাট ইত্যাদি ফাঁকি দিয়ে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং অবৈধ উপায়ে জমি দখলে রাখার বিষয়ে ১৮ অক্টোবর দুদকে হাজির হতে বলা হয় এ নোটিশে। নির্ধারিত দিনে লতিফুর রহমান হাজিরও হয়েছিলেন।
পরে আবার লতিফুর রহমানের কাছে স্বাক্ষর, স্মারক ও তারিখ বিহীন চিঠিতে বিভিন্ন বিষয়ে হিসাব চাওয়া হয়। এরপর এই চিঠিকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। লতিফুর রহমানের পক্ষে আদালতে খান মো. শাহাদাত হোসেন হলফ করে রিটটি দায়ের করেন।