রানার এক মামলায় জামিন, আরেক মামলায় স্থগিত

, আইন-আদালত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 20:05:44

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (টাঙ্গাইল- ৩) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে চেম্বার জজ আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এই আদেশ দেন।

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় রানাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন।

এক মামলায় জামিন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় রানার কারামুক্তি আটকে গেল বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

২০১৩ সালের জানুয়ারিতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। রানা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

অপরদিকে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা সাংসদ আমানুরের দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে।

গত ৬ মার্চ এই মামলায় রানাকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর