তবুও চার্জশিট হয় না সাগর-রুনি হত্যা মামলার

, আইন-আদালত

মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 19:34:34

বছর যায় বছর আসে। একের পর এক তারিখ পড়ে। বিচারক বদলায়, তদন্ত কর্তকর্তা বদলায়। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যা মামলার চার্জশিট হয় না।

গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ও মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গত ৮৭ মাসে ৬৫ বার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

আগামী ২৬ জুন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে দিন ধার্য করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত শুরু করে থানা পুলিশ। চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় ঘটনার চারদিন পর তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব। কিন্তু গত ৭ বছরেও র‌্যাবের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হয়নি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতি।

ঘটনার ৮ মাস পর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার থাকা ৫ আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুন, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে গ্রেফতার দেখিয়ে সাগর-রুনি হত্যা মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়।

এছাড়া ওইদিনই আরও দুই আসামি রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালকে গ্রেফতার এবং পরবর্তীতে অপর দারোয়ান আসামি এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করা ছাড়া গত সাত বছরে মামলার তদন্তে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নাই।

এদিকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুজ্জামানের উপস্থিতিতে সাগর-রুনির লাশ তোলে র‌্যাব। তাতে পরীক্ষা করে দেখা যায় নিহত সাগর রুনিকে হত্যার আগে কোনো নেশাজাতীয় খাবার পানীয় দেওয়া হয়নি এবং কোনো বিষও পাওয়া যায়নি।

এরপর ২০১২ সালের ৭ জুন থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জব্দকৃত আলামতের সঙ্গে ম্যাচিং করার জন্য ৮ আসামি ও সন্দেহভাজন ২১ আত্মীয়ের নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। মূলত এরপরই মামলার তদন্তে স্থবিরতা নেমে আসে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর