কৃষ্ণচূড়ার ফুলে সেজেছে আদালত প্রাঙ্গণ

, আইন-আদালত

মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 23:22:59

রাজধানীসহ সারাদেশে গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ। প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা কেড়ে নিচ্ছে জীবনের প্রাণস্পন্দন। এমন সময় মনে কিছুটা প্রশান্তি এনে দিচ্ছে ঢাকার জজ আদালত প্রাঙ্গণের কৃষ্ণচূড়া ফুলের মনোরম দৃশ্য।

বট, পাকুড় গাছের ফাঁকে ফাঁকে লাল টুকটুকে ফুলে সেজেছে কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো। চারদিকে ঘন সবুজের মধ্যে কৃষ্ণচূড়ার লাল টুকটুকে রং জাতীয় পতাকার কথা মনে করিয়ে দেয়।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পুরাতন ভবনের মাঝে একচিলতে জায়গা। এর অর্ধেকজুড়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তার অর্ধেক জায়গায় গাড়ি পার্কিং। আর এরই ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে কয়েক প্রজাতির উদ্ভিদ।

এক সময় এ জায়গায় অর্ধশতাধিক প্রজাতির শতাধিক গাছ ছিল। কালের পরিক্রমায় সেখানে বর্তমানে প্রায় ২০ প্রজাতির অর্ধশতাধিক গাছ কোনক্রমে টিকে আছে।

উদ্ভিদগুলোর মধ্যে বট, পাকুড়, কড়ই, মেহগনি, সেগুন, অর্জুন, কৃষ্ণচূড়া, নিম, দেবদারু, আম, কদম, কাঁঠাল, কামরাঙ্গাসহ নানান উদ্ভিদ রয়েছে।

ঢাকা বারের সিনিয়র আইনজীবী আবদুল বাতেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘একসময় আদালত প্রাঙ্গণে অনেক গাছ ছিল। এক একটি বিল্ডিং করা হচ্ছে আর গাছ কাটা হচ্ছে। আদালতে বিচার প্রার্থীদের বসার জায়গা নেই। গাছের ছায়ায় তারা প্রাণ জুড়ায়। এখনো যে কটি গাছ টিকে আছে সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি।’

ঢাকা বারের কার্যকরী কমিটির সদস্য ফারহানা আক্তার লুবনা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পাখিদের খাওয়ার জন্য এখন আর কোনো ফল অবশিষ্ট নাই। একমাত্র বট-পাকুড়ই তাদের ভরসা। অনেক প্রকার পাখি ও বন্যপ্রাণী বট-পাকুড়ের ফল খেয়ে বেঁচে থাকে। বাণিজ্যিক কদর না থাকায় বট-পাকুড় গাছ লাগানো হয় না। আপনা আপনি বেড়ে ওঠা এ গাছগুলো সংরক্ষণ করা দরকার।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর