ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হেনস্তা করে ভিডিও ধারণ ও তা প্রচারের অভিযোগে করা মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করেছেন। তার পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন এ জামিন আবেদন করেন।
এর আগে সোমবার (১৭ জুন) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের সময় তাকে আদালতে আনা হয়। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাশের হাজতখানায় তাকে রাখা হয়েছিলো। আদালত শুরু হলে তাকে এজলাসে ওঠানো হয়।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন বিচারকার্য পরিচালনা করছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তার জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হবে।
এরআগে রোববার (১৬ জুন) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। সোমবার সকালে তাকে ফেনীর সোনাগাজী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থানার প্রত্যাহার করা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ওইদিন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন বাদির জবানবন্দী রেকর্ড করে ঘটনাটি তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দেন।
পিআইবি ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ২৭ মে ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার নামে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ মাদরাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাকে আটক করে। গত ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মুত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।