আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করলেন ওসি মোয়াজ্জেম

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 14:45:05

আগুনে পুড়ে হত্যার শিকার নুসরাত জাহান রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ছড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।

সোমবার (১৭ মে) ওসি মোয়াজ্জেমকে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে আনা হলে তিনি এই বিষয়ে অস্বীকার করেন।

জামিন আবেদনে তার আইনজীবী ফারুক আহমেদ উল্লেখ করেন- মামলায় বলা হয়েছে, আসামি মোয়াজ্জেমের আইডি থেকে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তার আইডি থেকে ভিডিও ছড়ানো হয়নি। ভিডিও ছড়ানো হয়েছে মো. আতিয়ার হাওলাদার সজল নামে এক সাংবাদিকের আইডি থেকে। অথচ তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি।

আইনজীবী দাবি করেন, সজলের আইডি থেকে ভিডিও ছড়ানোর কথা জানতে পেরে ওসি মোয়াজ্জেম গত ১৪ এপ্রিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তাই মোয়াজ্জেম এ মামলায় আসামি হতে পারেন না। তিনি জামিন পেতে পারেন।

আরও পড়ুন: ওসি মোয়াজ্জেমের নিরাপত্তা-বেশভূষা নিয়ে আদালত চত্বরে প্রশ্ন

শুনানিতে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন আসামির আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন যে, মোয়াজ্জেম হোসেন ভিডিওটি করেছিলেন কি না? কিন্তু আইনজীবী ফারুক আহমেদ কৌশলে এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।

এতদিন আদালতে জামিন নিতে আসেননি কেন? বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে আসামির আইনজীবী বলেন, 'নিরাপত্তার অভাবে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি।' এ সময় বিচারক বলেন, 'একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছেন?'

আইনজীবী উত্তরে বলেন, 'ওসি মোয়াজ্জেমের বিষয়টি যেভাবে মিডিয়ার এসেছে তাতে তিনি বাইরে বের হলে যে কেউ তাকে চিনে ফেলে। অপরাধী না নির্দোষ তা পরে বিচার হবে, জনরোষে পড়লে পুলিশ অফিসার না নিরীহ মানুষ তা দেখা হয় না। গণপিটুনি শুরু হয়। ওসি মোয়াজ্জেম পলাতক ছিলেন না। জনরোষের ভয়ে আদালতে আসতে পারেননি।'

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মোয়াজ্জেমের আইনজীবী বলেন, 'আসামি নির্দোষ, এটা মামলার ট্রায়ালে প্রমাণ করব।'

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার নামে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ মাদরাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাকে আটক করে। গত ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর